তাকওয়া মডেল মাদরাসার বিভিন্ন ক‌্যাম্পাসে যথাযত মর্জাদায় জুলাই গণ অভ‌্যুথান দিবসের আরোচনা সভা ও দু’আ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। | হিফজুল কোরআন ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে ব্যতিক্রমধর্মী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ছাত্রীদের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা পাঠদান ও আবাসিক ব্যবস্থা।

 

|

Taqwa Model Madrasah (Chawkbazar)



তাকওয়া মডেল মাদ্রাসা (চকবাজার)

বরং এটি কুরআনের সুস্পষ্ট আয়াত, যা জ্ঞানীদের অন্তরে সংরক্ষিত। (সূরা আল-আনকাবুত : ৪৯)

এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাধারে আল কুরআন হিফজের পাশাপাশি মাদরাসা বোর্ডের পাঠ্যক্রম অনুসারে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। যাতে করে আমাদের সন্তানরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে পিছিয়ে না পড়ে। এ সমন্বিত উদ্যোগ থাকায় কাঙ্খিত হিফজ শেষ করেও একজন ছাত্র শিক্ষাবোর্ডের ষষ্ঠ অথবা সপ্তম শ্রেণি থেকে নির্ধারিত লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে। প্রতিটি হিফজ ব্যবস্থায় যুগের চাহিদা পূরণ না হওয়ায় এই নবতর ধারা গ্রহণ একটিই অনবদ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। এক কথায়, আধুনিক কারিকুলামসহ শিক্ষার আন্তর্জাতিক মান সংরক্ষণ করাই আমাদের অন্যতম প্রতিশ্রুতি।

ভর্তি বিভাগসমূহ
আমরা প্রধানত ছয়টি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকি:
ক. প্রি-হিফজ প্রোগ্রাম (আলিম নূরানী, আদর্শ নাজেরা)
খ. হিফজুল কুরআন প্রোগ্রাম (হিফজুল কুরআন, দাওর (জুনিয়র))
গ. মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মাদ্রাসা শিক্ষা (৫ম–৮ম শ্রেণি)
ঘ. খণ্ডকালীন প্রোগ্রাম (হিফজুল কুরআন, সহীহ কুরআন তালিম) (সবার জন্য উন্মুক্ত)
ঙ. এবারিক ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স (ইংরেজি কোর্স, সবার জন্য উন্মুক্ত) সকল প্রোগ্রামে মহিলাদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা।

ভর্তি ক্যাটাগরি
আমরা ৩ ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকি:
ক. আবাসিক: যারা সম্পূর্ণ আবাসনে মুজাহিদ ক্যাম্পাসে অবস্থান করে।
খ. ডে-কেয়ার: যারা বাদ ফজর থেকে ৩.০০ মি. পর্যন্ত সুব্যবস্থা ক্যাম্পাসে অবস্থান করে
(এই সময়ে তিনবেলা খাবার ও ঘুম সামিল হবে)।
গ. অনাবাসিক: যারা সকালে ৮.৪০ মি. এবং দুপুর ২টা–রাত ৮.০০ মি. পর্যন্ত সকল সুযোগ-সুবিধাসহ ক্যাম্পাসে অবস্থান করে
(এই সময়ে খাবার এবং ঘুম সামিল থাকবে না)।

বিশেষ নূরানী
ঘ. প্রি-নার্সারী ও কাগজকলম শিক্ষাবিহীন শিশুদের জন্য প্রোগ্রাম (যারা এখনো কোনও প্রকার সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে না)।
ঙ. খণ্ডকালীন হিফজ/ধ্বনিগত সহীহ কুরআন তালিম: যারা বাদ ফজর, বাদ জোহর বা বাদ মাগরিব—
এই তিন সময়ের কোন এক সময়ে প্রতিদিন পাঠে অংশগ্রহণ করবে।

পরীক্ষাসংক্রান্ত
প্রত্যেক ছাত্রকে পরীক্ষার নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে।

বেতন ও ফি পরিশোধের নীতিমালা
মাসিক ফি আপনার সন্তানের খাওয়া খরচা ও পরিচর্যার জন্য ব্যয় করা হয়। তাই প্রতিষ্ঠানের ১০ তারিখের মধ্যে মাসিক ফি পরিশোধ করে আপনার সন্তানের কাঙ্খিত সেবাদানে প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করুন।

নির্ধারিত তারিখের পরে মাসের ২৫ তারিখ অতিবাহিত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ খাতা এবং ক্লাস বন্ধ করে দিলে অভিভাবকের কোনো অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না।

বিশেষ প্রয়োজনে বেতন পরিশোধে কষ্ট হলে তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে তার কারণ অবহিত করতে হবে।

কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করলে বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চলে গেলে তার কোনো ফি ফেরত দেওয়া হবে না।

ভাড়া বাড়ানোর প্রয়োজন হলে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাসিক ফি কর্তন করা হতে পারে।


ক্রীড়া ও বিনোদনমূলক কার্যক্রম
🔹 শিক্ষার্থীদের দুঃখহরণে শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিদিন বিকালে নিরাপদ খেলার মাঠে নিয়ে যাওয়া এবং নির্ধারিত সময় পর্যন্ত খেলাধুলা শেষে নিয়ে আসা।
🔹 শিক্ষার্থীদের কর্তৃক অনুমোদন এবং উৎসাহে আবদ্ধ বিভিন্ন সর্বজনশ্রুত ও আকর্ষণীয় হাফেজ ও ক্বারীগণের অনুসরণে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণে ক্লাসরুম/কম্পিউটার সিটি ব্যবহার করা।
🔹 সাংস্কৃতিক, কুইজ ও ক্বেরাত প্রতিযোগিতা ও হাদিস মাইফিলের আয়োজন করা।
🔹 জাতীয় ও আন্তর্জাতিক হিফজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের উপযোগী করা। বার্ষিক ক্রীড়া এবং ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করা।
🔹 শিক্ষার্থীর সফলতার অনুষ্ঠান আয়োজন করা।

শিক্ষার্থীদের করণীয়
🔸 অভিভাবকের যোগাযোগে শিক্ষার্থীদের যাওয়া-আসা নিশ্চিত করবেন।
🔸 শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিধান করে আসতে হবে।
🔸 মাদরাসা বন্ধকালীন সময় অভিভাবকের নিদের্শে বাসায় পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।
🔸 কোনো কারণে অবর্তমানে প্রশাসনকে অবগত করবেন।
🔸 বাসায় শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত পরিবেশ নিশ্চিত করবেন।
🔸 শিক্ষার্থীদের বাসা থেকে পাঠানো খাবার-লন্ড্রির ব্যবস্থা অভিভাবকগণ করবেন।
🔸 পাঠওয়াজের সালাত জামাআতের সাথে আদায় করতে হবে।
🔸 অনুমতি ছাড়া একে অন্যের রুমে যেতে পারবে না।
🔸 পড়ালেখা, ঘুম ও খাওয়ার সময় ডিস্টার্ব করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
🔸 কোন সমস্যা হলে শিক্ষক বা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে।

সাধারণ নির্দেশনা:
🔹 নিজের কাছে টাকা রাখা যাবে না। প্রয়োজনে অভিভাবক অফিসে টাকা জমা রাখবেন।
🔹 হিফজের প্রয়োজনের সময় সালাত মিস অনুমতি নিতে হবে।
🔹 মাদ্রাসা ত্যাগ এবং প্রয়োজনে সময় জানিয়ে দাখিল দেখাতে হবে।
🔹 জামা-কাপড়, সিট, জুতা-কাপড় যথাযথভাবে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
🔹 আবাসিক শিক্ষার্থীদের সীট বিন্যাস কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবেন। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের কোনো প্রকার আপত্তি শোভনীয় নয়।
🔹 কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া হোস্টেল নিজের মতো করে প্রবেশ করা যাবে না।
🔹 অনুমতি ছাড়া অন্য কিছু ধরতে পারবে না।
🔹 কোনো ছাত্রের নেতিবাচক চরিত্রের অনুপযুক্ত কার্যাবলি, আচরণ-আচরণ, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি অবনতির জন্য বহিষ্কার করা হবে।
🔹 মারাত্মক শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধক রোগ বা অন্যদের জন্য ক্ষতিকর, ধরাপড়া গেলে তাকে সাময়িক/স্থায়ীভাবে বাদ দেয়া হবে।
🔹 ভর্তি পরবর্তী সময়ে কোনো ছাত্রের হোস্টেলে অবস্থান বিঘ্ন ঘটলে অব্যাহতি।

আবাসিক সাক্ষাৎ ও সূচি
🔹 প্রতি জুন ও ডিসেম্বর সকল শনিবার সকাল ১০টা থেকে মাগরিবের পূর্বপর্যন্ত শিক্ষার্থীর সাথে দেখা করা যাবে।
🔹 সাময়িকভাবে নির্ধারিত অভিভাবক তার নিজ নাম, পরিচয়, আইডি নং ও শিক্ষার্থীর সাথে সম্পর্ক উল্লেখ করে ধর্মে উজ্জ্বল করতে হবে।
🔹 রাতে সাক্ষাৎ প্রদান বা শারীরিক পদ্ধতিতে ছাত্রদের সাথে সাক্ষাৎ করা যাবে না।
🔹 কোনো ছাত্রকে জুতোহীন ব্যক্তি ছাড়া হোস্টেল, বাসায় নেয়া বা রাত্রি করতে পারবে না।
🔹 কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ছাত্রের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসবেন না।
🔹 অভিভাবক চাইলে পূর্বানুমতি সাপেক্ষে ছাত্রকে আবাসিক রুমে দেখা করতে পারবেন না।
🔹 অন্য ছাত্রের সাথে দেখা করতে পারবেন না।
🔹 মন খারাপ ছাত্রকে নিরাশ করতে যাওয়া ও কোনো কথা শিক্ষার্থী পড়াশোনায় ক্ষতিকর।

অনাবাসিক নিয়মাবলী
অভিভাবকগণ সময়মত মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের যাওয়া-আসা নিশ্চিত করবেন।

শিক্ষার্থীকে মাদরাসা কর্তৃক নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিধান করে আসতে হবে।

মাদরাসা বন্ধকালীন সময়ে অভিভাবক নিজ দায়িত্বে বাসায় পড়াশোনার ব্যবস্থা করবেন।

কোনো কারণে অনুপস্থিত হলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।

কোনো কারণবশত অনুপস্থিত থাকলে লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে।

বাসায় শিক্ষার্থীদের জন্য ইসলামিক পরিবেশের ব্যবস্থা করবেন।

শিক্ষার্থীকে বাসা থেকে মাদরাসায় আনা-নেয়ার ব্যবস্থা অভিভাবক করবেন।

অভিভাবক সমাবেশে হাজির থাকবেন ও গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করবেন।

জেনারেল
ক. নার্সারি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের মৌলিক ৪টি বিষয় যেমন— বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও আরবি শ্রেণিভিত্তিক পাঠদান করা হয়।

বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক-শিক্ষিকা দ্বারা ক্লাসগুলো পরিচালিত হয় এবং ক্লাসের পড়া ক্লাসেই সম্পন্ন করা হয়।

৮ম শ্রেণিতে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সকল বিষয় পাঠদান করা হয় এবং প্রতিষ্ঠাননির্ধারিত ফরমে বোর্ড পরীক্ষার অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা করা হয়।


পার্টটাইম হিফজ / কুরআন তালিম

প্রথম ব্যাচ 🕓 বাদ ফজর – ৮:৩০

দ্বিতীয় ব্যাচ 🕓 বাদ যোহর – আসর পর্যন্ত

তৃতীয় ব্যাচ 🕓 বাদ মাগরিব – এশা পর্যন্ত

Our Branches